দায় ঘুচিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর তানজিদরা
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই দায় নিজের কাঁধে তুলে নিলেন তানজিদ হাসানসংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই দায় নিজের কাঁধে তুলে নিলেন তানজিদ হাসান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করলেও তাঁর মনে হয়েছে, সেই ইনিংস যথেষ্ট ছিল না। চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি ফিফটি করলেও ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন। তখন বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৭ বলে ৩৩ রান, হাতে ছিল ছয় উইকেট। কিন্তু তানজিদের বিদায়ের পর আর কেউ দায়িত্ব নিতে পারেননি, ফলে ১৪ রানের হারে সিরিজ হার নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
তানজিদ রান পেলেও আউট হয়েছেন ভুল সময়ে
নিজের আউট নিয়েই হতাশ তানজিদ বললেন, ‘আমি যতক্ষণ উইকেটে ছিলাম, জয়ের সম্ভাবনা ছিল। আসলে ম্যাচটা শেষ করে আসা উচিত ছিল আমারই। বিশ্বাস ছিল, যেকোনো ওভারে এক–দুইটা বাউন্ডারি এলে ম্যাচটা ঘুরে যাবে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হয়নি। এখন সামনে কীভাবে আরও ভালো করা যায়, সেটি নিয়েই কাজ করতে হবে।’
মিডল অর্ডারের ব্যর্থতাই এবারও কালো ছায়া হয়ে নেমে এসেছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। জাকের আলী, তাওহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন কেউই মধ্য ওভারে রান তোলার চাপ সামলাতে পারেননি। এ বছর টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার।
সমস্যার সমাধান খুঁজছেন জানিয়ে তানজিদ বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে কীভাবে ধারাবাহিকতা আনা যায়, আর কীভাবে ডট বলের সংখ্যা কমানো যায়। এটা সবাই মিলে ঠিক করতে হবে।’
এদিকে বোলাররা নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকই পালন করেছেন। একসময় মনে হচ্ছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২০০ ছাড়াবে, কিন্তু শেষ ৯ ওভারে মাত্র ৪৪ রান দিয়ে তাঁদের থামিয়ে দেন বাংলাদেশের বোলাররা। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেই লড়াই বিফল হয়েছে। তাই ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক লিটন দাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধি অ্যালিক অ্যাথানেজ ম্যাচশেষে বলেন, ‘বাংলাদেশের ইনিংসে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল। তবু তারা ১৫০ রানের নিচে থেমেছে, সেটিই তাদের ব্যর্থতা।’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তানজিদও স্বীকার করলেন, ‘উইকেট যেমনই হোক না কেন, অন্তত ১৫০ রান করা উচিত ছিল আমাদের। ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিতে পারিনি, এটাই মূল কারণ।’
শেষে আফসোসের সুরেই তানজিদের সংযোজন, ‘যদি আমরা একটু ডট বল কম খেলতাম, তাহলে হয়তো চাপটা কম হতো। কিন্তু সেটা হয়নি।’
লিটন দাস ও মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। এখন তানজিদরা খুঁজছেন ঘুরে দাঁড়ানোর পথ।
Post a Comment